আর্টিক্যাল মার্কেটিং আপনার জন্য কি গুরুত্ব রাখবে? কিভাবে আর্টিকেল মার্কেটিং করতে পারেন
আর্টিক্যাল মার্কেটিং এর গুরুত্বঃ
আর্টিক্যাল মার্কেটিং দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রিন্টিং প্রকাশনা থেকে এটি ওয়েবে স্থান পাচ্ছে, বিশেষজ্ঞদের মতে ডিজিটাল যুগের পরিবর্তনে এটি বিভিন্ন ওয়েব ভিত্তিক স্থানান্তর অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন করে তুলেছে।আর্টিক্যাল মার্কেটিং এর ফলে ওয়েবসাইট গুলু তথ্য নির্ভর হচ্ছে, এবং সার্চ ইঞ্জিনে শীর্ষস্থান দখল করে ট্র্যাফিকের নজর পড়ছে। আপনার ওয়েবসাইট এর পপুলারিটির জন্য একটি ভালো মানের আর্টিক্যাল এর বিকল্প নাই।

কিভাবে করবেনঃ
A. আপনি সঠিক কীওয়ার্ডগুলি ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিক্যাল কে প্রথম পেজে রাখতে পারেন।এবং পাঠক আপনার কী-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে সহজেই আপনার ওয়েব সাইটে প্রবেশ করবে।
B.আপনার আর্টক্যাল টি কোন নির্দিষ্ঠ পাঠকের কাছে পাঠাতে পারেন তাহলে সেটা আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আর এজন্য আপনাকে আপনার আর্টক্যাল ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং সাইট এ জয়েন হতে হবে, অথবা বিভিন্ন আর্টিক্যাল সাবমিশন ফ্রি ডিরেক্টরি আছে সেখানেও সাবমিট করতে পারেন।
C. আপনার বন্ধুদের সহায়তা নিতে পারেন; যেমন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ারের অনুরুধ করতে পারেন। অথবা আপনার বন্ধুর ওয়েবসাইট থাকলে তা লিংকিং করার অনুরুধ করতে পারেন।
D. আপনি যদি ইতিমধ্যে প্রচুর আর্টকেল লিখে থাকেন তবে এগুলি কে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করুন।আপনি এগুলি একটি ই-বুক আকারে একসাথে রাখতে এবং এটিকে বিনামূল্যে পাঠকদের দিতে পারেন।
E. ওয়েবের মাধ্যমে আপনার সাইটের প্রচারের জন্য আর্টিকেল মার্কেটিং অন্যতম একটি হাতিয়ার। এছাড়াও মেটা ট্যাগ এবং পপ আপ ট্যাগগুলি রয়েছে যা খুব জনপ্রিয় হয়।
সুতরাং আর্টিকেল মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ কেন? উত্তর টি হলো আপনি ৩০০-৫০০ ওয়ার্ডের এর মধ্যে পাঠক কে আপনার মনের কথা গুলু বোঝাতে পারতেছেন, যা কোন ব্যানার এড থেকে বেশি ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি কোন সাইটে ব্যানার এড দেন তাহলে লোকেরা এটাকে অযথা ভেবে কেটে দেয়, বা রিমূভ করে দেয়। আপনি যদি অফলাইনে কোন ব্যাবসা করেন তার জন্য যেমন এডভার্টাইজ করেন ব্যানার বা ফেস্টুন দিয়ে, তা কয়জন ফলো করে এটা অবশ্যই আপনার জানা । কিন্তু কোথাও যদি লোকজন জড়ো করে আপনার ব্যাবসা সম্পর্কে বিজ্ঞাপন দেন তাহলে সবাই আপনার কথা বুঝতে পারবে। ঠিক তেমনি অনলাইনে আর্টিকেল লিখে কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন তাহলে অনেক লোক একই সাথে আপনার আপনার প্রোডাক্ট এর প্রতি আকৃষ্ঠ হবে। মোট কথা হলো আর্টিকেল মানে নিবন্ধ/রচনা/পর্যালোচনা ইত্যাদি।
প্রাসঙ্গিক, বস্তু নির্ভর, যৌতিক কোন কিছু অনলাইনে লিখে উপস্থাপনা কে আর্টিকেল বলে। হতে পারে কোন প্রোডাক্টের উপর, অথবা কোন শিক্ষণীয়, তথ্য নির্ভর, অথবা প্রশিক্ষন ভিত্তিক। আপন কি ব্যাপারে আর্টিকেল লিখবেন তা আপনাকেই বাছাই করতে হবে।
আপনি যদি কোন্য পন্য সম্পর্কে লিখেন তাহলে এটা সম্পর্কে যত সহজ করে বলতে পারবেন পাঠক রা ততো সহজে তা বুঝতে পারবে।
আপনি যদি মনে করেন আপনার নিজে থেকে কিছু গুছিয়ে লিখতে পারবেন না, তাহলে বিভিন্ন সাইটে গিয়ে অন্যজনের লেখা অনুকরন করতে পারেন, এক এক সাইট থেকে এক অংশ কপি করে আপনার পিসি বা মোবাইলে ড্রাফট আকারে লিখে রাখুন। পরে আপনার নিজের মতো করে গুছিয়ে লিখতে চেষ্ঠা করুন।এরপর আপনার লেখাটি অনলাইনে সাবমিট করুন।
ওয়েব ব্যবহার করে যে কোনও জিনিস সন্ধান করতে চাইলে যে কোন সার্চ ইঞ্জিনে নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড টাইপ করতে হয়, যদি আপনি চান লোকেরা আপনার আর্টিকেলটি সন্ধান করবে, তাহলে অবশ্যই একটি কী-ওয়ার্ড কে কেন্দ্র করে আপনার আর্টিকেল টি লিখবেন।
সর্বপরি বিশ্বাস যোগ্য ও বাস্তবমুখী আর্টিকেল মানুষ সব সময় সার্চ করে, আপনার উচিত হবে তেমনই একটা আর্টিকেল পাঠকদের উপহার দেওয়া।